Kyoto Protocol কিয়োটো প্রোটোকল

 কিয়োটো প্রটোকল হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা United Nations Framework Convention on Climate Change এর উদ্যোগে নেওয়া হয়েছিল।জাপানের কিয়োটো শহরের নামানুসারে এই চুক্তির নামকরণ করা হয়েছিল।

এই প্রটোকল 1997 সালে জাপানের কিয়োটো শহরে গ্রহণ করা হয়েছিল। যে সময় গ্রিনহাউস গ্যাসের দ্বারা দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছিল এবং তার প্রভাব পৃথিবীর সকল জীবের উপরেই পড়ছিল।
এই প্রটোকলের মূল লক্ষ্য ছিল যে গ্যাসগুলি বিশ্বকে উষ্ণ করে তুলছে তার ব্যবহার দ্রুতাহারে কমিয়ে আনা। এই প্রটোকলের উদ্যোগ 1997 সালের 11ই ডিসেম্বর নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়েছিল 2005 সালের 16ই ফেব্রুয়ারি।

2001 সালের 29 শে অক্টোবর থেকে 10ই নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মরক্কোর মারাক্কেচ শহরে COP 7  এর মিটিং এ এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল যা "Marrakesh Accords" নামে পরিচিত।
বর্তমানে এই চুক্তি দ্বারা ১৯২টি দেশ দায়বদ্ধ রয়েছে।
🖌️ প্রধান যে 6 টি গ্রীনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য জোর দেওয়া হয়েছিল সেগুলি হল:-
Carbon dioxide (CO2),
Methane (CH4),
Nitrous oxide (N2O),
Hydrofluorocarbons (HFCs),
Perfluorocarbons (PFCs),
Sulphur hexafluoride (SF6),

🖌️পটভূমি:
1988 সালে United Nations Environment Programme এবং  World Meteorological Organization দ্বারা প্রতিষ্ঠিত Intergovernmental Panel on Climate Change এর মতে বিশ্ব উষ্ণায়ন এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল হিসেবে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, হিমবাহের গলন, সমুদ্রে হিমশৈলর গলন, মেরু অঞ্চলের পার্মাফ্রস্ট গলন ফলে পরিবেশে এক ভয়ানক প্রভাব পড়বে। বন্যা, খরার পরিমান বাড়বে ও তার স্থান পরিবর্তন ঘটবে। 20% থেকে 30% উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের জীবন সংকট ঘটবে। এই ভয়াবহতা দূর করার লক্ষেই UNFCCC গ্রিনহাউস নির্গমনকারী শিল্পন্নত দেশ গুলিকে একত্রিত করে কিয়োটো প্রটোকলের রূপদানের চেষ্টা করে।
🖌️লক্ষ্যমাত্রা:
কিয়োটো প্রটোকলের মাধ্যমে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলি স্থির করে যে, 2012 সালের মধ্যে তাদের বার্ষিক হাইড্রোকার্বন এর নির্গমন মাত্রা কমিয়ে 5.2 % এ নিয়ে আসবে যা বিশ্বের 29% গ্রিনহাউস গ্যাসের সমান।


অর্থনৈতিক কারন দেশীয় চীন ও আমেরিকা এই প্রটোকলের বাইরে থাকার চেষ্টা করে, অথচ 1990 থেকে 2009 পর্যন্ত বিশ্বের মোট গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের 40% এই দুই দেশের দ্বারাই সম্পন্ন হয়েছিল।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দে এই চুক্তিকে পরিবর্ধিত করে পেশ করা হয়, যা দোহা সংশোধনী নামে পরিচিত। এই সংশোধনী অনুসারে শুধুমাত্র ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলিকে নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Post a Comment

1 Comments

If you have any doubt, please let me know.